পরিবারের কেউ যাতে মাদকদ্রব্যের সাথে জড়িয়ে পড়তে না পারে সে ব্যাপারে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।
পারিবারিক বন্ধন শক্তিশালী করা,কাজের ফাঁকে ফাঁকে সন্তানদের সময় দেয়া,তাদের নিয়মিত খোঁজ-খবর নেয়া,তাদের বই পড়া,খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও সুস্থ বিনোদন ব্যবস্থা করা।
সন্তানের সামনে স্বামী-স্ত্রী বিরোধ না করা,নিজেরা সংযত জীবনযাপন এবং সন্তানদের ছোটবেলা থেকে সংযত জীবন যাপনের নৈতিক শিক্ষা দেয়া।পরিবারে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় অনুশাসনের বিকাশ ঘটানো।
পরিবারে কোন মাদকাসক্ত ব্যক্তি থাকলে তাকে অপরাধী না ভেবে এবং তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ কিংবা তাকে উপেক্ষা না করে বরং একজন অসুস্থ্য ব্যক্তি হিসেবে সাহায্য ও ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দ্রুত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
সন্তানের সামনে ধূমপান বা নেশা না করা,ধূমপান বা নেশার উপকরণের ব্যাপারে সন্তানের কোন স্বাভাবিক অনুসন্ধিৎসাকে উপযুক্ত ব্যাখ্যা এবং জবাবের মাধ্যমে নিবৃত করা এবং এর কুফল সম্পর্কে তাকে বুঝানো।
সন্তানের চালচলন,কথাবার্তা,অন্যের সাথে মেলামেশা,ঘরের বাইরে যাওয়া এবং সময়মত ফিরে আসা,খাওয়া-দাওয়া,মেজাজ,আচরণ,অভ্যাস ইত্যাদি সম্পর্কে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে।সন্দেহজনক কিছু দেখলে সে সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে।
সন্তানকে অতি শাসন বা অতিআদর করা এবং যুক্তিসঙ্গত কারন ছাড়া সন্তানের হাতে টাকা পয়সা দেয়া উচিত নয়।কোন কাজে সন্তানের অসফলতায় শাস্তি নয়,সান্তনা ও পরামর্শের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
সন্তান একরোখা,স্বেচ্ছাচারী,জেদী,কলহপ্রবণ,মারমুখী কিংবা দূর্বল ব্যক্তিত্বের অধিকারী হলে শৈশবেই তার মনস্তাত্বিক বিকাশের চেষ্টা করা এবং তাকে আত্ববিশ্বাসি,সচেতন ও সুস্থ্য শিশু হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।নতুবা বড় হলে সহজেই অন্যের প্রভাবে মাদকাসক্ত হতে পারে।
মাদক অপরাধ দমনের যেকোন কাজে সরকারী বা বেসরকারী সংস্থাকে সাহায্য করা
অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রি বা চোরাচালান হতে দেখলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে খবর দেয়া
পাড়ায় পাড়ায় অবৈধ মাদক ক্রয়-বিক্রয় বা ব্যবহারের বিরুদ্ধে গনপ্রতিরোধ গড়ে তোলা।মাদকাসক্তি একটি সামাজিক সমস্যা,এটি একটি সামাজিক ব্যাধি।সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই,একে নির্মূল করা সম্ভব।